শিরোনাম :

  • মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

গণতন্ত্রের শত্রু অনেক, মিত্র শুধু জনগণ: এমাজউদ্দীন

Dr. Emaj-3নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৬ই ডিসেম্বর গণতন্ত্র মুক্ত দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল তা আজ সর্বস্তরেই অনুপস্থিত। দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কে কখন নিহত হবে আহত হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এরশাদ সরকারের শেষ দিকে যে অবস্থা ছিল দেশ এখন সেই অবস্থার মধ্যে আছে। সবকিছুতেই অগণতন্ত্র ব্যবস্থা চেপে ধরেছে। মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি ও জনগণের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল। নব্বই-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো নিয়ে কারও কারও ভিন্নমত থাকলেও এ নির্বাচনগুলো সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ছিল। মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল। কিন্তু ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এ নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটার অধিকার প্রযোগ করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ, প্রশাসন কোথাও স্বাধীনতা নেই। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দলীয় নেতাকর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর দলীয় আর কাউন্সিলররা নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে। একই নির্বাচনে দুই নিয়ম করে নির্বাচন কমিশন প্রহসনের নির্বাচন করছে। বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করতেই এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে। তাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। যেসব প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পৌরসভা নির্বাচনেও জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেবে না। গণতন্ত্রের শত্রু অনেক মিত্র শুধু জনগণ। এ জনগণই সোচ্চার হলে দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরে আসবে।