• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চাদাবাজ পুলিশের আগুনে দগ্ধ সেই দিনমজুর চা বিক্রেতার মৃত্যু, চারজনকে প্রহ্যাতার

1নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঁচানো গেল না পুলিশ সদস্যের নির্দয়তার শিকার চা বিক্রেতা বাবুল মাতুব্বরকে (৪৫)। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবুল মাতুব্বরের ছেলে রাজু বলেন, ‘বুধবার রাতে আমার বাবা মিরপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন কিংশু সমিতির সামনের ফুটপাতে চা বিক্রি করেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি দোকানে কাজ করছিলেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশের সোর্স দেলোয়ারসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য যাচ্ছিলেন। তারা বাবার কাছে এসে চাঁদার টাকা দাবি করেন।’
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের দেয়ায় আগুনে দগ্ধ বাবুলের মৃত্যুর পর চার পুলিশ সদস্যকে প্রহ্যাতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে ডিএমপির মিরপুর বিভাগ।

তবে কত টাকা তা বলতে পারেনি তিনি। রাজু জানান, টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একসময় দেলোয়ার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে চায়ের চুলায় (স্ট্রোভ) আঘাত করে।

এ সময় চুলাটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে তার বাবার শরীর ঝলসে যায়। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবুলকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন। পরে তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, আগুনে ওই ব্যক্তির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে, বুধবার রাতের ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার মিরপুর জোনের উপকমিশনার মাসুদ আহমেদকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।

তিনি জানান, মিরপুর জোনের ডিসি কাইমুজ্জামান খানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়।

মারুফ হোসেন সরদার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে এডিসি মাসুদ আহমদকে প্রধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলারও প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত শেষে পুলিশ সদস্য দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email