শিরোনাম :

  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্কুল খোলার তাগিদ ইউনিসেফ ও ইউনেসকোর

নিউজ ডেস্ক ◾

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল যৌথ বিবৃতিতে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে সোমবা (১২জুলাই) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার এ আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও ইউনেসকো।

হেনরিয়েটা ফোর ও অড্রে অ্যাজুল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। বন্ধের ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকা উচিত। স্কুলগুলো পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। স্কুল খোলার জন্য করোনা শূন্যের কোঠায় যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা যায় না।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ, এমনকি মহামারিজনিত পরিস্থিতি যখন এটা দাবি করে না, তখনো বন্ধ। প্রায়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ব্যবস্থাগুলো শেষ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়ার বদলে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা ছিল।বিজ্ঞাপন

যৌথ বিবৃতিতে হেনরিয়েটা ফোর ও অড্রে অ্যাজুল বলেন, স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শেখার ক্ষতি, মানসিক সংকট, সহিংসতা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া থেকে শুরু করে স্কুলভিত্তিক খাবার ও টিকা না পাওয়া বা সামাজিক দক্ষতার বিকাশ কমে যাওয়া—শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত অর্জন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় এর প্রভাব দেখা যাবে। মা-বাবা এবং শিশু যত্নকারীদেরও ক্ষতির ভার বইতে হচ্ছে। শিশুদের ঘরে থাকা বিশ্বজুড়ে বাবা-মায়েদের বাধ্য করছে তাঁদের চাকরি ছেড়ে দিতে, বিশেষ করে এমন দেশগুলোতে যেখানে পারিবারিক ছুটির নীতিমালা নেই বা সীমিত। এ কারণেই ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা যায় না। স্কুল খোলার জন্য করোনা শূন্যের কোঠায় যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা যায় না। এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে সংক্রমণের প্রধান চালিকা শক্তিগুলোর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নেই। এদিকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশমন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি সামাল দেওয়া সম্ভব। স্কুল খুলে দেওয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এবং কমিউনিটির মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।