আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ফাহিমের দাফন সম্পন্ন, খুনির শাস্তি দাবি
দেশনিউজ ডেস্ক।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহর জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার নিউ ইয়র্ক শহরের একটু দূরে আপস্টেটের নিউ উইনডসরে জানাজার পর স্থানীয় নূর সিমেট্রিতে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকালে ফাহিম সালেহর মরদেহ হাসপাতাল থেকে ফিউনারেল হোমের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
ফাহিমের বাবার বাড়ি পুকেপসির নিউ উইনডসর এলাকায়। সেখানকার নূর সিমেট্রিতে তাঁর মরদেহ পৌঁছালে তৈরি হয় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা, মা, বোন ও স্বজনেরা। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি প্রতিবেশি এবং উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
জানাজায় গণমাধ্যম ও সাধারণের অংশগ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে আগে থেকেই ফাহিমের পরিবার সবাইকে অনুরোধ করে। এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমসহ সবাইকে পরিবারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে সম্মান করা এবং শোকের এ সময় কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। ফলে জানাজায় কেবল পরিবারের সদস্য, নিকটআত্মীয়, স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। পরে শোক আর ভালোবাসায় দাফন করা হয় ক্ষণজন্মা অসম্ভব মেধাবী এই তরুণকে।
এদিকে, ফাহিম সালেহর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়ে উঠেছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন অনুষ্ঠানে তারা এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শোক, ভালোবাসা এবং বিচারের দাবি তুলে ধরছেন। অভিযুক্ত হাসপিলের বিরুদ্ধে সেকেণ্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনার বিষয়টি নিয়েও সমালোচনামুখর তারা। যদিও হত্যাকাণ্ডের পর পর এনওয়াইপিডির তৎপরতায় ফাহিমের পরিবার ও প্রবাসীরা সন্তোষ জানিয়েছেন।
প্রবাসীরা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কি কেবল এক হাসপিলই জড়িত, নাকি অন্য কেউ রয়েছে, সেটা তারা জানতে চান। সেই সাথে বিচারিক প্রক্রিয়ায় এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুত কার্যকরের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ডিএন/আইএন/জেএএ/৯:৪৩এএম/২০৭২০২০৩