শিরোনাম :

  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি ৪২ বিশিষ্টজনের

আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একইসাথে তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও চেয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সুজনের দেয়া চিঠিটি রাষ্ট্রপতির দফতরে জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছি। সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কী কী অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘ইসির নানা রকমের আর্থিক অনিয়ম রয়েছে- এর মধ্যে প্রশিক্ষণ না দিয়ে প্রশিক্ষণ ভাতা তুলে নেয়া, নির্বাচন কমিশনারদের প্রটোকলের বাইরে গিয়ে একাধিক গাড়ি ব্যবহার করা, বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় রয়েছে।’

এসব বিষয়ে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ৪২ নাগরিক হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, ড. আকবর আলি খান, এডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, সেন্ট্রাল ইউমেন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক পারভীন হাসান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সম্পাদক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড. আই খান পান্না, ড. শাহদীন মালিক, আলোকচিত্রশিল্পী ড. শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সি. আর আবরার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, লেখক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সাধনার আর্টিস্টিক ডিরেক্টর লুবনা মরিয়ম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন এর অধ্যাপক, গবেষক স্বপন আদনান, ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গোলাম মোর্তুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ক্লিনিকাল নিউরোসাইন্স সেন্টার, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন-এর পরিচালক অধ্যাপক নায়লা জামান খান, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন।