আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ঋণের কিস্তি না দিলে খেলাপি হবে না ডিসেম্বর পর্যন্ত
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক |
দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে সব ধরনের ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়। করোনা মহামারিতে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হয়েছিল। এ সময় পর্যন্ত কোনো ঋণ আদায় না হলেও সেটিকে খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না। এ মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
এটি হলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণ পরিশোধে গ্রাহককে চাপ দিতে পারবে না ব্যাংক। এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে। নীতিমালা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চলছে পর্যালোচনা। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য অনুযায়ী, ব্যবসায়ীদের দাবিতে এ মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ ছাড় ব্যক্তি পর্যায়ে কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে চলছে গবেষণা। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিরূপ প্রভাব সামাল দিতে সরকারের নির্দেশনায় সব ধরনের ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও কাউকে খেলাপি ঘোষণা করতে পারবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরের ঋণমানই থাকবে বহাল থাকবে। অর্থাৎ ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক পর্যায়ে কোনো উদ্যোক্তা ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবেন না। কাউকে ঋণ পরিশোধে চাপ দিতে পারবে না ব্যাংক। তবে স্বেচ্ছায় কেউ ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে ভিন্ন কথা।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এ দাবি করেছে ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণের মেয়াদ এক বছরের পরিবর্তে তিন বছর করার জন্য।
এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন, প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। করোনার প্রভাব এখনও কাটেনি; ঋণ সুবিধাটি কেবল পেয়েছেন তারা। অনেক ব্যাংকই ঋণ মঞ্জুর করে বিতরণ শুরু করেছে মাত্র। ঋণ সুবিধা নিয়ে কারখানার উৎপাদন পরিবেশ ফেরাতে আরও সময় প্রয়োজন। উদ্যোক্তারা উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে পারছেন না।
এছাড়া অপেক্ষাকৃত কম জনবল দিয়ে উৎপাদন চালাতে হচ্ছে। এ অবস্থা দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস তৈরি পোশাক খাতেও। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিপত্তি বেধেছে খেলাপি ঋণ দেখানো ও ব্যক্তি পর্যায়ের ঋণ পরিশোধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে কাগুজে হিসাবে গত ৯ মাসে নতুন করে কোনো গ্রাহককে খেলাপি দেখানো হয়নি। যদিও বাস্তবে খেলাপি হয়ে পড়েছে অনেকেই। শুধু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি হওয়া ঋণের সুদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ কিস্তি পরিশোধ না করলে নতুন করে কেউ খেলাপি দেখানো হবে না। এজন্য ব্যাংকগুলোকে এর বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করা লাগবে না। এতে ব্যাংকের আয় ও মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।