শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

ময়মনসিংহে ত্রাণ ও পিপিই বিতরণ করলেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজারেরও বেশী দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা মহানগর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। কার্যক্রমের আয়োজন করে কোতোয়ালি থানা বিএনপি এবং সহযোগীতা করে ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।

ফুলবাড়িয়া আসনের সাবেক সাংসদ প্রয়াত ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন আহমেদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং সারা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য শুরু করেন অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশে কখন কি হবে কেউ সেটা জানে না। কখন মার্কেট-দোকান খোলা হবে বা বন্ধ করা হবে সরকারের কেউ জানে না। এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন করোন ভাইরাস খুব একটা মারাক্তক অসুখ না, গতকাল বলেছেন এই করোনা ভাইরাসে অনেক লোক আক্রান্ত হবে কিন্তু বেশী ক্ষতি হবে না। আজকে বলতেছেন ভাইরাসের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের সমন্ময় নাই কোনো প্রস্তুতিও নাই।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের নমুনা যে সংখ্যায় পরীক্ষা হচ্ছে এর মধ্যে একমাত্র আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে। আর সব দেশ আমাদের উপরে। অর্থাৎ পরীক্ষা করার দিক থেকে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্ন অবস্থানে আছি। অথচ সরকার উন্নয়নের গলাবাজি করে দেশ নাকি উন্নয়নের সড়কে। বাংলাদেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছে। মধ্যম আয়ের দেশের এই অবস্থা। নেপাল, ভুটানের মতো দেশও বাংলাদেশের চেয়ে বেশী টেস্ট করছে।

তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে গত আড়াই মাস যাবৎ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জনগণের পাশে রয়েছেন। এবং যতটুকু সম্ভব সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য করছেন। এই সাহায্য অব্যহত আছে এবং থাকবে। কারণ শহীদ জিয়ার গড়া দল জনগনের দল, সব সময় পাশে ছিল এবং আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদও অসুস্থ তারপরেও করোনায় আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছে, দেশের মানুষ কেমন আছে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

সরকার চাঁপাবাজি করছে অভিযোগ করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘আগামী দিনে আরও কঠিন সময় আসছে। সরকার যতই চাপাবাজি করুক না কেন স্বাধীনতার পর রিলিফ চোর গম চোর এই সব কথা গুলো আসছিল। এবার আসছে চাল চোর। শুধু চাল চোর না, সয়াবিন তেল চুরি করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। শেখ সাহেব বলেছিলেন সবাই পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি। আর এখন শেখ হাসিনা বলছেন আমি যদি কাফনের কাপড়ও দেই এটা দিয়ে তারা পাঞ্জাবি বানাবে। এরা কিন্তু তার দলেরই লোকজন। এই হচ্ছে অবস্থা।

ত্রাণ বিতরণে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হলে বিশৃঙ্খলা হতো না দাবি করে ড্যাব’এর সাবেক এই মহাসচিব বলেন,
‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে আহ্বান করা হয়েছিল সকল দল মত নির্বিশেষে একটি সর্বদলীয় কমিটি করেন। কারণ পেটে ক্ষুধা আওয়ামী লীগের লোকজনদেরও লাগে বিএনপির লোকজনদেরও লাগে। মানুষকে খাবার দিতে হবে। সর্বদলীয় কমিটি যদি করা হতো তাহলে এই অনিয়ম বিশৃঙ্খলা, সমন্ময়হীনতা হতো না।’
কোলতয়ালী থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,
ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওহাব আকন্দ, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু,
এ্যাড. মো. আবুল হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কায়কোবাদ মামুন, লিটন আকন্দ, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আজিজ সহ ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী ও প্রতিটি ইউনিয়নের দুইজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এরপর ডা. জাহিদ হোসেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে পিপিই সামগ্রী হস্তান্তর করেন। যা গ্রহণ করেন এসকে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. কামাল উদ্দিন। এই হাসপাতলটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একটি অংশ।

-খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি