চরম বেকারত্বঃ বিক্ষোভ ও দাঙ্গার পর তিউনিসিয়ায় কারফিউ জারি

00001আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর্মসংসস্থান ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরা চলা বিক্ষোভ ও দাঙ্গার পর তিউনিসিয়ায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার। পশ্চিমাঞ্চলীয় কাসেরিন প্রদেশে বেকারত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দ্রুত তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

তিউনিস, সিদি বৌজিদ এবং গাফসা শহরে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বেশ কয়েকজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা গাড়িচাপা দিয়ে এক পুলিশকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার কাসেরিনে এক বেকার লোক সরকারি ভবনের নিকটে একটি বিদ্যুতের খুঁটির উপরে উঠে আত্মহত্যা করার পর বিক্ষোভ শুরু হয়।

রিদা ইয়াইয়ুই নামের ২৮ বছর বয়সী ওই যুবককে সরকারি চাকুরির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
এখন সরকার বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

তিউনিসিয়ার ২০১৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ নিদা তিউনিস দল জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।  এর আগে  ২০১১ সালে আরব বসন্তের শুরুতে স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বেন আলির পতনের পর প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল এন্নাহদা পার্টি।

বর্তমানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন নিদা তিউনিস পার্টির প্রধান বেজি চেইদ এসেবসি। স্বৈরশাসক বেন আলীর সময় সংসদের স্পিকার ছিলেন এসেবসি।

এসেবসির শাসনে দেশটি আবারো দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত এলিট বা অভিজাতদের শাসনে ফিরে গেছে বলে সমালোচকরা বলছেন।
প্রেসিডেন্ট এসেবসি শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন।

দুর্নীতি ও বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
বিক্ষোভের কারণে ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ।

পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ফুটপাতের হকার মোহাম্মদ বুয়াজিজির (২৬) আত্মহত্যার জেরে ২০১১ সালে দেশটিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়।
এতে অবসান ঘটে স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বেন আলির ২৩ বছরের শাসনের।

Print Friendly, PDF & Email