ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
মাওলানা সাদের অফিসে দিল্লি পুলিশের তল্লাশি
নিউজ ডেস্ক |
ভারতের দিল্লিতে গত মার্চে তাবলিগ জামাতের আয়োজকদের বিরুদ্ধে করা মামলায় অনিচ্ছাকৃত হত্যার ধারা নতুন করে সংযুক্ত করেছে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
করোনাভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে ক্রাইম ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে আগেই তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল।
এবার তার সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত হত্যার ধারা সংযুক্ত করা হলো। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
এদিকে বুধবার দিল্লি পুলিশের অপরাধ শাখা তাবলিগ জামাত সদরদফতরে তাবলিগের প্রধান মাওলানা সাদের কামরায় তল্লাশি করেছে।
পুলিশ মারকাজে আসা তহবিল ও লেনদেনের নথিপত্র খোঁজ করছে। মাওলানা সাদের ছেলেদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এ পর্যন্ত ১৪ জনেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক লোককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মারকাজের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন।
একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মারকাজে যোগ দেয়া এক হাজার ৮৯০ বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া মারকাজের সঙ্গে যুক্ত ১৮ জনকে নোটিশ দিয়ে তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলিগ জামাতের সঙ্গে যুক্ত ৫৭ বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ।
তাদের পাসপোর্টও আটক করা হয়েছে। ৫৭ বিদেশি নাগরিকের মধ্যে পাটনা থেকে ১৭, কিষাণগঞ্জ থেকে ১১, আরারিয়া থেকে ১৮ এবং বাক্সার থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার উপেন্দ্র শর্মা বলেন, কিরঘিজস্তানের ১৭ নাগরিক পর্যটন ভিসায় এসে ভিসা নিয়ম লঙ্ঘন করে ধর্মপ্রচার চালাচ্ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে এফআইআর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিহারের কিষাণগঞ্জের পুলিশ সুপার কুমার আশীষ বলেন, পর্যটন ভিসায় ১০ ইন্দোনেশীয় এবং একজন মালয়েশিয়ার নাগরিক এসে তারা ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
তারা কিষাণগঞ্জে আসার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশকে কিছুই জানাননি বলেও পুলিশ সুপার কুমার আশীষ জানান।