আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের
নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরণের অভিবাসন সাময়িকভাবে বন্ধ করতে নির্বাহী আদেশে সই করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইটে তিনি করোনাভাইরাসকে ‘অদৃশ্য শত্রুর হামলা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমেরিকার অধিবাসীদের জন্য এখন চাকরি ও জীবিকা বাঁচানো প্রয়োজন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
এটা পরিষ্কার নয় যে ঠিক কোন কোন কর্মসূচি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট এই আদেশ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারবেন কি-না।
সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাসকে ব্যবহার করে সরকার অভিবাসনের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছে।
সোমবার দিন শেষে মিস্টার ট্রাম্পের এই ঘোষণা আসে। অবশ্য তখন হোয়াইট হাউজে বিতর্ক চলছিল যে যুক্তরাষ্ট্রে মহামারির ধ্বংসযজ্ঞ শেষ এবং এখন দেশটিকে উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত কি-না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষের চলাচলে বিভিন্ন রাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা দেশটির অর্থনীতিকে আংশিকভাবে অচল করে দিয়েছে।
গত চার সপ্তাহে দুই কোটির বেশি আমেরিকান জানিয়েছেন যে তারা চাকরি হারিয়েছেন। এই সংখ্যা গত এক দশকে যে পরিমান চাকরী সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রায় সমান।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এ সাত লক্ষ ৮৭,০০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।
এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে মিস্টার ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের কারণে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।
গত মাসে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অভিবাসনসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব ধরণের ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ করতে কানাডা ও মেক্সিকোর সাথে আন্তঃসীমান্ত পারাপার মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক শিকার ইউরোপীয় দেশগুলো এবং চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে অত্যন্ত কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী, সাময়িক কর্ম ভিসা, এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণ এর আওতামুক্ত থাকবে।
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত থেকে হাজার হাজার অনথিভূক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে দিতে জরুরী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পদক্ষেপের কারণে কর্মকর্তারা অভিবাসন আইন এড়িয়ে সহজেই অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে পারছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ কী হচ্ছে?
এর আগে সোমবার প্রেসিডেন্টের সমর্থনে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে আমেরিকানদের ঘরে থাকার নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানাতে হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করেন ডেমোক্রেটিক গভর্নররা।
মিস্টার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন যুগিয়েছেন, কিন্তু একই সাথে তিনি গভর্নরদের বলেছেন যে তাদের হাতেই সর্বময় ক্ষমতা রয়েছে।
সম্প্রতি তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা জানিয়েছেন যে তারা হোয়াইট হাউসের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে নিরাপদে সব কিছু চালু করার বিষয়টি কার্যকর করছেন।
সূত্র : বিবিসি