ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
সৌদি আরবে কিশোর অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড বন্ধ হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক |
শিশু বা কিশোরদের বিরুদ্ধে আর কোনো মৃত্যুদন্ড দেবে না সৌদি আরব। এর মধ্য দিয়ে এমন মৃত্যুদন্ড বন্ধ হতে চলেছে। সৌদি আরবের হিউম্যান রাইটস কমিশন এ কথা বলেছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বাদশাহ সালমানের একটি রাজকীয় ডিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ ঘোষণায়। তবে বলা হয়েছে, দুদিন আগে সৌদি আরব বলেছে, সেখানে মারামারি বন্ধ করা হবে। ইউএন কনভেনশন অন রাইটস অব দ্য চাইল্ড-এ বলা হয়েছে, শিশু কিশোরদের অপরাধের জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেয়া উচিত নয়। এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে রিয়াদ।
রাষ্ট্র সমর্থিত হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রেসিডেন্ট আওয়াদ আলাওয়াদ রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিশু কিশোরদের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড ঘোষণা করে রাজকীয় ডিক্রি জারি হয়েছে। এই সাজা কার্যকর হবে কোনো কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে।
তিনি আরো বলেন, এই ডিক্রি সৌদি আরবের দন্ডবিধিকে আরো আধুনিক করতে সহায়ক হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে তা পরিষ্কার জানানো হয় নি। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বলা হয় নি।
মানবাধিকারকর্মীরা বলেন, বিশে^ সৌদি আরবের মানবাধিকারের রেকর্ড একেবারে নাজুক। তারা আরো বলেন, সৌদি আরবে মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব হচ্ছে। আর সরকারের সমালোচনকরা তো খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার হচ্ছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো, ২০১৯ সালে দেশটিতে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে। এর মধ্যে কমপক্ষে একজন কিশোর অপরাধী।
বিবিসি লিখেছে, ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। দেশটির অনেক নাগরিক অধিকারকর্মী ও নারী অধিকারকর্মী এখনও জেলে রয়েছেন। এসব ঘটনার পর সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ড রয়েছে কড়া নজরদারিতে। এ সপ্তাহের শুরুতে মানবাধিকারের একজন বিখ্যাত প্রচারক জেলে মারা গেছেন স্ট্রোক করে। তার সহকর্মী অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, তিনি কর্তৃপক্ষের চিকিৎসা সংক্রান্ত অবহেলার কারণে মারা গেছেন।