আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
৮৬ বছর পর ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়ায় শোনা গেল আজানের ধ্বনি
নিউজ ডেস্ক |
তুরস্কের এক আদালতের রায়ের পর ইস্তাম্বুলের বিশ্ববিখ্যাত হাইয়া সোফিয়ায় আজান দেয়া হয়েছে।
এর আগে এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা ঠিক ছিল না বলে রায় দিয়েছে তুর্কী আদালত।
এর পরেই তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকারের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান এটিকে মসজিদ বানানোর এক আদেশে সই করেছেন।
দেড় হাজার বছরের পুরনো হাইয়া সোফিয়া এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা ছিল বলে দাবি করা হয়। পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।
রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।
রেচেপ তাইপ এরদোয়ান বলছেন, আদালতের রায়ের পর নামাজ পড়ার জন্য হাইয়া সোফিয়াকে খুলে দেয়া হবে।
টুইটারে এক পোস্টে মি. এরদোয়ান জানান, হাইয়া সোফিয়ার সম্পত্তি ‘দিয়ামাত’ বা তুর্কী ধর্মীয় বিষয়ক দফতরের হাতে সোপর্দ করা হবে।
এরপরই হাইয়া সোফিয়াতে প্রথমবারের মত আজান দেয়া হয়।
সরকারের সমর্থক ‘হাবার টিভি’সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে এই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।
হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাস:
- হাইয়া সোফিয়ার ইতিহাসের সূচনা ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে যখন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্ন নামে এক জায়গায় একটি বিশাল গির্জা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
- সে সময় বিশাল গম্বুজের এই গির্জাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং দালান বলে মনে করা হতো।
- ১২০৪ সালে ক্রুসেডারদের হামলার ঘটনা বাদে কয়েক শতাব্দী ধরে হাইয়া সোফিয়া বাইজান্টাইনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
- অটোমান (ওসমান) বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহ্মেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন। তার আগ পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল।
- ইস্তাম্বুল দখলের পর বিজয়ী মুসলিম বাহিনী প্রথমবারের মতো গির্জার ভেতরে নামাজ আদায় করে।
- অটোমান শাসকেরা এরপর হাইয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন।
- গির্জার সব খ্রিস্টান প্রতিকৃতি এবং সোনালি মোজাইকগুলো কোরানের বাণী দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
- এর পরের কয়েকশো বছর ধরে হাইয়া সোফিয়া ছিল অটোমান মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
- ১৯৩৪ সালে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার প্রক্রিয়ায় মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
- হাইয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন।
ডিএন/আরএন/বিএইচ/০৯ঃ৪৫এএম/১১০৭২০২০-২