স্পেসএক্সের মহাকাশ যাত্রা সফল, পৃথিবীতে ফিরলেন ২ নভোচারী

নিউজ ডেস্ক |

বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবাহী বেসরকারি মহাকাশযান হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সফল অভিযান শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছেন নাসার দুই নভোচারী।

আজ সোমবার বিবিসি জানায়, স্পেনএক্স ড্রাগন ক্যাপসুলটি সফল অভিযান শেষে নাসার দুই নভোচারী— ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেনকে নিয়ে ফ্লোরিডার উপকূলে পেনসাকোলার দক্ষিণে মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করেছে।

সে সময় ক্যাপসুলে বিপজ্জনক রাসায়নিক থাকার আশঙ্কায় ব্যক্তিগত নৌযানগুলোকে সমুদ্র ছেড়ে যেতে বলা হয়।

নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন বলেন, ‘আশেপাশে নৌকার উপস্থিতি আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন টেট্রক্সাইডের সঙ্গে থাকা উড়োজাহাজের কাছাকাছি আসা যাত্রীবাহী নৌকার জন্য সাধারণ কোনো ব্যাপার না। এটা খুব নিরাপদও না। আমাদের এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, ভবিষ্যতেও মহাকাশযানের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য আমরা মানুষকে সতর্ক করছি।’

ক্যাপসুলটি গ্রিনিচ মান সময় ৬টা ৪৮ মিনিটে অবতরণ করে। অবতরণের পর ক্যাপসুলটিকে একটি জাহাজে তুলে নেওয়া হয়।

প্রায় ৪৫ বছর পর এই প্রথম কোনো মার্কিন মহাকাশ-ক্যাপসুল সমুদ্রে অবতরণ করল।

ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে অবতরণের পরই স্পেসএক্স মিশন সেটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলে, ‘স্পেসএক্স ও নাসার পক্ষ থেকে প্ল্যানেট আর্থে ফিরে আসায় স্বাগতম। স্পেসএক্স ওড়ানোর জন্য ধন্যবাদ।’

নভোচারীদের নিরাপদ অবতরণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপসুলটির উৎক্ষেপণ দেখতে সশরীরে ফ্লোরিডায় গিয়েছিলেন তিনি।

এক টুইটে তিনি বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ! খুব সফল দুই মাসের মিশনের পর নাসার মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এটি দুর্দান্ত!’

গত ৩০ মে নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায় টেক ধনকুবের এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স।

২০১১ সালের পর এই প্রথম আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশে কোনো মহাকাশযানকে অভিযানে পাঠানো হলো। এই অভিযানের আরেকটি বিশেষত্ব ছিল, প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে মহাকাশে যাওয়া।

দুই নভোচারী ডগলাস হার্লি ও রবার্ট বেহনকেন কেবল নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থারই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেননি বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলেরও সূচনা করেছেন।

স্পেসএক্সের নতুন এই সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কর্মী পরিবহনের জন্য রাশিয়ার রকেট ও ক্যাপসুলের ওপর নাসার নির্ভরতা কমাবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএন/আইএন/বিএইচ/০১ঃ৫০পিএম/০৩০৮২০২০-৫

Print Friendly, PDF & Email