শিরোনাম :

  • বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি

khaleda-adalot-2নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছে আদালত। সোমবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক আমিনুল ইসলাম এই দিন ধার্য করেন।

এই মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকালে প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত ও আদালতে হাজির হতে সময়ের আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, মামলাটি বিচারিক আদালতে চলবে বলে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ শুনানি স্থগিত রাখা হোক।

বিচারক শুনানি শেষে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এই মামলায় আত্মসমর্পণ করে খালেদা জিয়া জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক আমিনুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির জন্য ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে।

গত ২৮ জুন নাইকো মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন খারিজ বাতিল করে দেয় বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একই সঙ্গে রায় পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তি করে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুদক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপপরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত করে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়।