আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
মাওলানা সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই রায় প্রকাশ করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ। তিনি বলেন, ৬১৪ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড সাজার পরিবর্তে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেয়।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী (অবসর)।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর এবং বরিশালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছিল মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইব্রাহিম কুট্টি এবং বিসাবালী নামের দুজনকে হত্যার ঘটনায় সাঈদীর ফাঁসির আদেশ দেয়। এর এক মাস পর ২৮ মার্চ আপিল করে উভয়পক্ষ, যার শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত রায় দেয় আপিল বিভাগ।
এর আগে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাঈদীর বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর। সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দেন ১৭ জন।
এরও আগে ২০১১ সালের ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ১৪ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে সে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয় তাকে। ২০১০ সালের ২১ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত সম্পন্ন হয় তদন্ত কার্যক্রম।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক।
তবে স্কাইপে কথোপকথনের জের ধরে বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে ফের শুরু হয় যুক্তিতর্ক।