• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

জামায়াতকে বিচারের আওতায় আনতে ফেব্রুয়ারিতে আইন: আইনমন্ত্রী

anisul-minsনিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী আগামী ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে ফেব্রুয়ারিতে বিল উত্থাপন করা হবে। তবে তার আগে বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধ বিচারে সাক্ষী সুরক্ষা আইনও জুন-জুলাইয়ের মধ্যে উত্থাপনের চেষ্টা করা হবে।’

জামায়াতকে নিষিদ্ধ করবেন কবে- সাংবাদিকের এ প্রশ্নে জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য আইন করব না। আদালতের পর্যবেক্ষণের আলোকে আমরা কেবল যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত দলগুলোর বিচারের ব্যবস্থা করব। বাকিটা আদালত বিবেচনা করবে।’

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার করবে, তাদের এই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কটাক্ষ করলে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ এবং শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ করে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাউকে এ বিষয়টি নিয়ে ফুটবল খেলতে দেব না। এটা ঠেকাতে আইন করা হবে।’

আইনে শাস্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে আনিসুল হক বলেন, ‘তারাও তো ক্ষমতায় ছিল। তারা কেন শহীদের তালিকা করেনি?’

এর আগে সচিবালয়ে বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জড়িত জামায়াতসহ অন্যান্য সংগঠনের বিচারে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সংসদে বিল উত্থাপনসহ ১২টি দাবি জানানো করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর, সহ-সভাপতি মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email