শিরোনাম :

  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

২০১২ থেকে ২০১৯ ♦ কাদের মোল্লা থেকে আজহার

বিশেষ প্রতিনিধি |

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, দেশান্তর ও ধর্মান্তরসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মোট ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতের ৫ শীর্ষ নেতা রয়েছেন। এবার ৬ষ্ঠ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রায় কার্যকরের দ্বারপ্রান্তে এলো। জামায়াত বলছে, দলকে নেতৃত্বশূন্য করতে একের পর এক জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের দাবি, বিচারহীনতার দায় থেকে জাতি মুক্তি পাচ্ছে।

প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়।

দ্বিতীয় নেতা হিসেবে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ১ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

তৃতীয় ও চতুর্থ মৃত্যুদণ্ড একসঙ্গে কার্যকর করা হয় ২০১৫ সালে। একই অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে।

জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে পঞ্চম নেতা হিসেবে ২০১৬ সালের ১১ মে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

একই অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগারে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে।

এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

এদিকে ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর কারাগারে ইন্তেকাল করেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম এবং বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল আলীম। অধ্যাপক আযম সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । তার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছিল।

কায়সার-সুবহানের আপিল শুনানির অপেক্ষায় : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা

সৈয়দ মো. কায়সার ও মাওলানা আবদুস সুবহানের আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগে অপেক্ষমাণ রয়েছে ।

এআ/ইনডি/আদালত