ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
সাগর-রুনি হত্যা : হাইকোর্টকে তদন্ত কর্মকর্তা যা জানালেন
আদালত প্রতিবেদক |
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সম্পর্কে জানাতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।
তিনি জানান, তদন্ত চলছে। চারটি ডিএনএর নমুনা এফবিআই ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি নমুনা আসামির সঙ্গে মেলেনি। বাকি দুটি নমুনা প্রকাশিত হয়নি। যে কারণে নমুনা পুনরায় এফবিআইতে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসব তথ্য দেন। আদালত আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
২০ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। সাগর-রুনি হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযোগ ওঠা তানভীর রহমান নামের এক ব্যক্তির মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন।