আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
এবার রাজশাহী রেঞ্জের এসপির বিরুদ্ধে ঢাকায় চাঁদাবাজির মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক।
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন মো. গোলাম মোস্তফা (আদর) নামের এক ব্যবসায়ী।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বাদী আদর সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নিকট-আত্মীয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আসামি বেলায়েত হোসেনের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর পূর্বে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় আদরের। এরপর তাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাধে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন বাড়ির জমি রেজিস্ট্রি করতে গত বছরের ১১ আগস্ট ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই টাকা আসামি গত ১৫ মার্চ চেক প্রদান করেন। পরদিন আদর চেকটি উত্তোলন করেন। গত ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। তখন আসামি বাদীর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে। পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক বেলায়েত হোসেনের নামে দেন। গত ১০ এপ্রিল বাদীর সাথে তার বাবার কথা হয়। বাদী জানতে পারেন, ঘটনা কিছু না মিথ্যাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে বেলায়েত হোসেন টাকাটি নিয়েছেন। পরে বাদীর বাবা ব্যাংককে চেকটি পাস না করার তথ্য দেন। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সাথে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাতনামা ডিবি নামধারী পুলিশ পরিচয় বাদীর বাড়ি প্রবেশ করেন। তারা ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ জেলের হুমকি দেন তারা।
টাকা দিতে না পারায় আদরকে মারপিট করে ডিবির মিন্টু রোডে নিয়ে যায়। আদরের বাবা, মা ও স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন বলেন, ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রসফায়ার দেওয়া হবে অথবা ৮০০ বোতল ফেনসিডিল অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়া হবে। তখন আদরের বাবা সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামিকে দেন। ১০ আগস্ট আরও ৫০ হাজার টাকা আসামিকে দেওয়া হয়। আসামি আরও ৬ লাখ টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতে বলেন। অন্যথায় বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
/জেএএ/৩:৩০পিএম/১২৮২০২০১৪