ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
গণমাধ্যমের সংকট নিয়ে এবার ৫ সাংবাদিক নেতার ৯ প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক | সংবাদপত্রের পাওনা বকেয়া বিল পরিশোধ, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য বীমা চালু, বেতন-বোনাস নিয়মিত রাখাসহ ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন সরকারপন্থী ৫ সাংবাদিক নেতা। গতকাল রবিবার বিএফইউজের (একাংশের) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং সাবেক মহাসচিব এম শাহজাহান মিয়া, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া ও ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এ প্রস্তাবনা তথ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
৯ দফা প্রস্তাবনা হলো—দুর্যোগের এই সময় মাঠে বা অফিসে সাংবাদিক, কর্মচারীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবাইকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা। সবার বেতন-বোনাস নিয়মিত রাখা ও কোনো ছাঁটাই, লে-অফ ঘোষণা না করা। সরকারের কাছে সংবাদপত্রের পাওনা বকেয়া সরকারি বিজ্ঞাপন বিল পরিশোধ করা, টেলিভিশন চ্যানেলের স্যাটেলাইট ফি মওকুফ বা বিলম্বিত কিস্তি। আগামী তিন মাসের জন্য টেলিভিশন চ্যানেল এবং সংবাদপত্রের সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য সরকারি অনুদান প্রদান, টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের জন্য স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ, এই সংকটের সময়ে সাংবাদিকদের যেন কোনো বাড়িওয়ালা হয়রানি না করে সে বিষয়ে নজর রাখা, সরকার যে প্রণোদনাই ঘোষণা করুক সেটি যেন সারা দেশের মালিক, সাংবাদিক, শ্রমিক-কর্মচারীরা সবাই পান তা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে গণমাধ্যমের বিদ্যমান পরিস্থিতি উত্তরণে চারটি বিষয়ে ঘোষণার দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো—কোনো সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হলে নির্ধারিত হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো সংবাদকর্মী মারা গেলে তাঁর ও পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সাহায্য প্রদান, বেকার সাংবাদিকদের তালিকা করে অবিলম্বে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল এবং সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া, বেকার, বয়স্ক, অসচ্ছল, সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত রেশন কার্ড বরাদ্দ দেওয়া এবং হকার, বাইন্ডার, কেবল অপারেটরসহ মাঠকর্মীদেরও এই তালিকায় রাখা।