ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
সংবাদ-যোদ্ধাদের সুরক্ষা ও মালিক-সম্পাদকদের ভূমিকা
মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ♦
করোনাকালে বহুল উচ্চারিত একটি বাক্য বন্ধনী – “ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স।” সামনের কাতারের কর্মী বাহিনী। কেউ কেউ আদর করে, ভাবাবেগতাড়িত হয়ে বলেন ‘ফ্রন্টলাইন হিরো’স।” ডাক্তার, নার্স, স্বাস্হ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডেলিভারীম্যান, সাংবাদিক, সেনিটেশন কর্মী, গ্যাস-বিদ্যুতের মতো জরুরী সেবায় কর্মরতরা এই গোত্রভুক্ত। বিশ্বজুড়ে এখন এরাই সত্যিকারের নায়ক। নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে দিনরাত তাঁরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
সাবেক একজন সাংবাদিক হিসেবে আজ আমি সংবাদকর্মীদের বিশেষ করে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকের কথা একটু বলবো। লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিসের সাংবাদিকদের সাথে তুলনা করবো না। প্রশ্নই উঠেনা। কারণ তাঁরা সমস্ত সুযোগ, সুবিধা, এবং আর্থিক সুরক্ষা ও প্রযুক্তিগত সুবিধা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে?
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে-ময়দানে দিনরাত যেভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন তাতে আমি বিস্মিত। যথাযথ মাস্ক নেই, প্রটেকটিভ গিয়ার নেই। তারপরও সাংবাদিকদের ক্লান্তি নেই। প্রভাবশালী মালিক কিংবা মালিকের দালাল সম্পাদকরা মনে হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। বিজ্ঞাপণ হারানোর শংকায় তাঁরা ফন্দি আঁটছেন সংবাদ কর্মীদের ছাঁটাইয়ের, নয়তো বেতন-ভাতা কমানোর।
এতোদিন, এতো বছর ধরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। যে সাংবাদিকরা আপনাদের সম্পদের পাহাড় গড়তে অমানুষিক পরিশ্রম করে গেছেন, এখন তাঁদের এই দু:সময়ে তাঁদের দিকে একটু নজর দিবেন কি? তাঁদের আর্থিক সুরক্ষার অঙ্গীকার করবেন কি?
আর, সেইসব দালাল সম্পাদকদের বলি — অনেক তো হয়েছে; ফেসবুকে, প্রেস ক্লাবে অনেক বড় বড় কথার ফুলঝুরি ছড়ান, নিজেদের অনেক ‘মহৎ’ অভিধা দিয়ে নার্সিসিস্টের মতো আত্মপ্রেমের প্রচারণা চালান, বছরে একাধিকবার ইউরোপ-আমেরিকা উড়াল দেন। এবার থামুন। আপনার চ্যানেলের, আপনার পত্রিকার, আপনার পোর্টালের সাংবাদিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য একটু সময় ও চেষ্টা কি দিবেন?
@ Mohammad Shahidul Islam
- ফেসবুক পোস্ট