আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পঙ্কজ-গিবসনের বিদায়ী সাক্ষাত
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী দুই দেশের হাই কমিশনার। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৃথকভাবে ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সহসাই তারা ঢাকা ছাড়ছেন।
ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।
তিনি বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সর্ম্পক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটি অর্জনে পঙ্কজ শরণ ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতায় দুই দেশ নিরাপত্তা, কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংস্কৃতি এবং দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক সর্ম্পক উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শুধু আমাদের সহযোগিতাই করেনি। তারা আমাদের মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছিলো।
পঙ্কজ শরণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পঙ্কজ শরণ বলেন, কখনো কোনো সমস্যা হলে আমরা সেটা ডায়ালগের মাধ্যমে সমাধান করবো।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আপনার সফর দুই দেশের সর্ম্পকের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায় দু’দেশের সর্ম্পককে।
বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রদান প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, চলতি বছরে সাড়ে ৬ লাখ ভিসা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ৭ লাখ হবে বলে আশা করছি।
এদিকে ব্রিটিশ বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাজ্যের জনগণ ও রাজনীতিকদের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিদায়ী ব্রিটিশ হাই কমিশানারের প্রশংসা করেন।
প্রভাবশালী এই দুই কুটনীতিকের সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দায়িত্বপালনকালে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এই দুই বিদায়ী হাই কমিশনার।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পঙ্কজ শরণের স্থলাভিষিক্ত বাংলাদেশে ভারতের নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন হর্ষ ভি শৃঙ্গলা এবং রবার্ট গিবসনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অ্যালিসন ব্লেইক। এর মধ্যে পঙ্কজ শরণকে রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।