• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

পৌর নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে ৬৮ কোটি টাকা চায় পুলিশ

3 Lawerনিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন খ্যাতে ব্যয় বাবদ ৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এর মধ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম খ্যাতে প্রায় ৯ কোটি টাকা চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপালনকারী সংস্থাটি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত চাহিদাপত্র ইসিতে পাঠানো হয়েছে। ইসির সম্মতিতে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চাহিদাপত্রে পৌরসভা নির্বাচনে ৭৩ হাজার ৭৩০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। তাদের ভাতা বাবদ প্রায় ১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যানবাহন বাবদ ৩৬ কোটি ১২ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, গোয়েন্দা কার্যক্রমে ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ চাহিদা পত্র পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এনামুলক দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায় পুলিশের ব্যয় বাবদ ৬৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাহিদার কথা জানিয়েছে। কমিশন চূড়ান্ত করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।’

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২৩৪টি পৌরসভায় পুলিশের ৭৩ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। তবে বিজিবি, আসনার ও কোস্টাগার্ড এর চাহিদা পত্র এখনো হাতে পায়নি ইসি।

পৌরসভা নির্বাচনে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ইসি। তবে নির্বাচন শেষে কম বেশি হতে পারে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা খাতে ব্যয় ধরেছে ৫৫ কোটি টাকা।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, এবিপিএন, বিজিবি ও কোস্টগার্ড মোতায়েন থাকবে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা। নির্বাচনে ১০২ পৌরসভায় এক প্লাটুন করে বিজিবি। উপকুলীয় ৬টি পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচনের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন, পরে একদিনসহ মোট চার দিন নির্বাচনী এলাকায় এই ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি ও কোষ্ট গার্ড সমন্বয়ে মোবাইল টিম ও স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

এদিকে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃ্ঙ্খলা মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্রের খসড়া ভোটিং এর জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রে সাধারণ কেন্দ্র প্রতি ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ জনের ফোর্স রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কমপক্ষে ৫ জন (অস্ত্রসহ) ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কমপক্ষে ৬ জন (অস্ত্রসহ) পুলিশ সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে ওই পরিপত্রে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশের ২৩৪টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email