• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

অপরাধী পুলিশ সদস্যদের দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করতে হবেঃ সংসদীয় কমিটি

Songsodনিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ সদস্যরা অপরাধে যুক্ত হলে তাদের দৃশ্যমান কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে পুলিশের তল্লাশি করা এবং তল্লাশির নামে যাতে কাউকে হয়রানি না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।

কমিটি মনে করেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ এত সফলতা অর্জন করলেও দু-চারজন পুলিশ সদস্যের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে পুরো বাহিনীকেই বিতর্কিত করে তুলছে। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি টিপু মুনশির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. শামসুল হক টুকু, মো. ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম এবং কামরুন নাহার চৌধুরী অংশ নেন।
পুলিশের আইজিপি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী, সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা এবং অতি সম্প্রতি এক ছাত্রী হয়রানির বিষয়টি সামনে এনে কমিটিতে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। দু-একজনের দায় পুরো পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না বলে কমিটিকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি পুলিশের উমেজ ফিরিয়ে আনতে অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় না দেয়ার পরামর্শ দেয়।

এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার এবং ড্রাইভার নিয়োগে পুলিশের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, পুলিশ বাহিনী অনেক ভাল কাজ করছে। তবে দু-চারজন সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত ও দৃশ্যমান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আরো  বেশি সর্তক হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

কমিটির অপর সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি করা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আরো ভালোভাবে একাজ করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, বৈঠকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল, ২০১৬ এর প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমুদ্র সীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানবপাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে কোস্ট গার্ড বহরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে চূড়ান্ত করা বিলটি চলতি সংসদেই পাসের সুপারিশ করেছে কমিটি।

Print Friendly, PDF & Email