শিরোনাম :

  • বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫

এবার চাল সংকট !

খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চালের দাম আরও বেড়ে গেল!

বিশেষ প্রতিনিধি |

সংসদে শিল্পমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পরের দিন পেয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছিল ৫০ টাকা। এবার খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫-৭ টাকা! পেঁয়াজের ঝাঁজে যখন সারাদেশে মানুষের চোখ জ্বালা-পোড়া করছে তখনই হঠাৎ করে আবার বেড়ে গেছে চালের দামও। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারে গিয়ে মানুষ দেখতে পায় চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে গেছে ৫-৬ টাকা। এ যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মতো অবস্থা।

পেয়াজের অত্যাধিক ঝাঁজ আর চালের দাম বাড়ার ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
এদিকে, সমালোচনার মুখে রোববার তড়িগড়ি করে রাজধানীর আব্দুলগণি রোডের খাদ্য অধিদপ্তরে মিল মালিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

ওই বৈঠকে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পেয়াজের মতো চাল নিয়ে কোনো প্রকার কেলেংকারি করতে দেয়া যাবে না। পেঁয়াজ নিয়ে একটা অযথা কেলেঙ্কারি। এজন্যই আপনাদের (চালকল মালিক) আমাদের ডাকা। যাতে চাল নিয়ে কোনো কেলেঙ্কারি আমাদের না হয়। এটা নিয়ে কেলেঙ্কারি করতে দেওয়া যাবে না। আপনাদের সুবিধা-অসুবিধা আমরা শুনব।
কিন্তু দেখা গেছে, খাদ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের পর রোববার বিকেলেই রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি, ফকিরাপুল এবং শান্তিনগর বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৭টাকা পর্যন্ত।
সকালে ৪৬-৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল বিকেলে একই দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৫২- থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। ৫০ টাকার নাজির শাইল চাল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৬৫ টাকার বাসমতি চাল ৭০-৭২টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এছাড়াও ৩৬ টাকার আটাশ চাল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৩৭ টাকার লতা চালও ৪০ টাকা, গুটি, পাইজাম, হাসকি এবং বি-আর ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯-৪০ টাকা কেজি দরে। ৪০ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে না।
মতিঝিল এজিবি কলোনির চাল ব্যবসায়ী অমল চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। তা না হলে আর কদিন বাদে আসতে শুরু করবে নতুন চাল, এখন দাম কমার কথা কিন্তু উল্টো বাড়ছে?

একই অভিযোগ করেন শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দিন আহমেদ। সেলিম রাইস এজেন্সির এই মালিক বলেন, পেঁয়াজের পর এবার মিল মালিকরা চক্রান্ত করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। তারা চাল গুদামজাত করে কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করছে বেশি দামে বিক্রি করবে বলে। তা না হলে এখন চালের দাম কমার সিজন। আর এখন উল্টো বাড়ছে।
বাবুবাজারের আড়ৎ থেকে চাল এনে বিক্রি করেন সেলিম। তিনি বলেন, প্রতিটি চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ। ফলে বাধ্য হয়ে আমাকে প্রতি কেজিতে সর্বনিম্ন ৪ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।