আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমুখে আ.লীগের মিছিল, পুলিশের বাধা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমুখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিলটি আটকে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাসভবনের আগে গুলশান-২ গোলচত্বরে বিক্ষোভ মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়। এরপর নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
উল্লেখ্য, গুলশান-২ গোলচত্বরের পাশে ৭৯ নম্বরে খালেদা জিয়ার বাসভবন এবং ৮৬ নম্বরে তার রাজনৈতিক কার্যালয়।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদে এই মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
সেখানে উপস্থিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রথমেই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেন কটূক্তি করা না যায়, এজন্য মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন করারও দাবি জানান শাহরিয়ার কবির।
প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীদের গুলশান-২ গোলচত্বরে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাদের খালেদা জিয়ার বাড়ির কাছে যেতে দেয়া হবে না।
পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচি ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি সিরাজুল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মন্তব্যের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘেরাও কর্মসূচির কারণেই ওই এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন অভিযোগে ক্ষমতাসীনরা তার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
খালেদা জিয়া ওই সমাবেশে বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।’
এরপর নিজের ফেসবুকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।