করোনা শিগগিরই চলে যাবে মনে করার যৌক্তিক কারণ নেই: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক।

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। ‘দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভালো হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। যে কোনো সময়ে দেশে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

কাদের বলেন, সে ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছে না। আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দেবে?’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা করা হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা দিবালোকের মতো সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা।’

‘একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিল যা ছিল পনেরো আগস্টের হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে আগস্টের টার্গেট ছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।’

ডিএন/পিএন/জেএএ/৫১৪পিএম/২২৮২০২০২৩

Print Friendly, PDF & Email