শিরোনাম :

  • রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে বাঁধ ভেঙে লাখো মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে টাঙ্গাইলের এলানজানি নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে সদর, কালিহাতি ও বাসাইল উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বুধবার ভোর রাতে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নওগা এলাকায় বাঁধটি ভেঙে যায়। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার জানালেও প্রয়োজনীয় কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় এই ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে।

তবে জেলা টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বাঁধ সংকটে পড়ায় আগে থেকেই তাদের কাজ চলমান ছিলো। শুকনো মৌসুমে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ কবিরুজ্জামান ডন জানান, বন্যার শুরু থেকে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেননি। গত কয়েকদিন যাবৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বস্তা ফেললেও তা পানির স্রোতে ভেসে যায়। পরে বুধবার ভোরে বাঁধ ভেঙে ওই এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ও বল্লা ইউনিয়ন এবং বাসাইল উপজেলার ফুলকি ও কাশিল ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আ. বারেক জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে প্রায় দুইশ ফুট বাঁধটি ভেঙে গেছে। আস্তে আস্তে ভাঙার পরিধিও বাড়ছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মতো কাজ করলে বাঁধটি রক্ষা করা যেতো। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙা বাঁধের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ওই বাঁধে গত চার পাঁচদিন যাবৎ কাজ চলমান ছিলো। গত রাতেও ১১টা পর্যন্ত কাজ করা হয়েছে। পরে রাত তিনটায় বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। পানি শুকিয়ে গেলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ডিএন/এফএন/জেএএ/৯:৩০পিএম/২৯৭২০২০২২