শিরোনাম :

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

রশিতে বেঁধে নির্যাতনের শিকার সেই মা-মেয়েকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি |

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চোর সন্দেহে মা-মেয়েকে এক রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিত মা-মেয়েসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে।

অবশ্য, চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। স্থানীয় জনতা ৫ জন গরু চোর আটক করলে তিনি পুলিশ ও ইউএনওকে ফোন দিয়ে সহায়তা করেছেন। তাদের আমি কোনোভাবে নির্যাতন করিনি এবং তাদের দেখেনি।

এদিকে, মা-মেয়েকে এক রশিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় জনতা গরু চোর আটক করেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় ২ নারী ও ৩ পুরুষ সদস্যকে স্থানীয় ইউপি কার্যালয় থেকে আটক করে প্রথমে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চোর সন্দেহে কোন নারীকে এভাবে নির্যাতন করতে পারে কিনা জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এভাবে রশি বেঁধে নির্যাতন করে পাড়া-মহল্লায় ঘোরানোর বিষয়টি প্রথম অবস্থায় আমরা জানতে পারিনি। এ ছাড়া তারাও নির্যাতনের কোনো অভিযোগ করেনি। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি কার্যালয় থেকে পুলিশ তাদের নিয়ে এসেছে। পরে নির্যাতনের একটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে নেয়।

জানা যায়, বাদীর নাম মাহবুবুল আলম। তার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গরু চোর সন্দেহে প্রথমে স্থানীয়রা একদফা মা-মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। পরে গ্রাম পুলিশ মা-মেয়েকে এক রশিতে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে আসার পর তাদের ওপর পুনরায় নির্যাতন চালানো হয়।

ডিএন/সিএন/জেএএ/৮:৫পিএম/২৩৮২০২০৩২