আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের মেয়াদ বাড়ানো হবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউরোপ ও আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের জুলাইয়ের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম বাংলাদেশ থেকে গুটিয়ে নিতে হবে। তারা সময় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু একদিনের জন্যও তাদের সময় বাড়ানো হবে না। আগামী ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এগুলোর মেয়ার শেষ হবে হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি এবং বিজিএমইএ যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। দেশের বেশির ভাগ কারখানা এখন কমপ্লায়েন্স হয়েছে। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি এখন অনেক ভাল। নিরাপদ কাজের পরিবেশে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট। মন্ত্রী বলেন, তাজরীন ও রানা প্লাজায় অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার ফলে অনেক শেষ বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়েছিল। সরকাররি ও বেসরকারি উদ্যোগের ফলে সে ইমেজ সংকট কেটে উঠেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২.৪৬ বিলিয়ন ডলার। লক্ষমাত্রা অর্জন করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৭৯ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মাত্র কয়েকটি পণ্যে ওপর জিএসপি সুবিধা প্রদান করতো। তাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যেও রপ্তানি কমেনি বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির লক্ষমাত্রা ছিল ২.৩৯ বিলিয়ন ডলার, তা অর্জন করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৯৬ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের টিকফা চুক্তি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার ওপর স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে এ টিকফা চুক্তি অর্থহীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি সুখী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেলক্ষে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে কাজ তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। এখন তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে অগ্নি নিরাপত্তা সামগ্রীর ৩৬টি ব্র্যান্ড। এর মধ্যে ১৩টি বিদেশি ব্র্যান্ড এবং বাকিগুলো বাংলাদেশি। প্রদর্শনী চলবে ৯ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।