আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
মাশরাফিদের হারিয়ে শীর্ষে সাকিবের রংপুর
ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ হেভিওয়েট লড়াইয়ে সাকিব আল হাসানের কাছে হেরে গেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবের রংপুরের করা ১৫৩ রানের বাধা টপকাতে পারলো না মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৯.৫ ওভারেই তারা অলআউট হয়ে গেলো ১৩২ রানে। ফলে শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে কুমিল্লাকে ২১ রানে হারিয়ে দিলো রংপুর রাইডার্স।
লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স। মাশরাফিদের হারিয়ে এখন লিগ টেবিলে রংপুর রয়েছে শীর্ষে। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে রংপুরের পয়েন্ট ১৪। তবে তারাই শেষ পর্যন্ত শীর্ষে থাকবে কি-না সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, এখনও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এক ম্যাচ বাকি। ওই ম্যাচ তারা জিতলে হয়তো রান রেটের ব্যবধানে কুমিল্লাই থাকবে শীর্ষে। না হয় রংপুরই থাকবে শীর্ষে।
টস জিতে রংপুরকেই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লার অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যাট করতে নেমে জহুরুল ইসলাম অমির দুর্দান্ত ৬২ রানের ওপর ভর করে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ রানেই অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা।
জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস আর মাহমুদুল হাসান মিলে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন কুমিল্লাকে। বিশেষ করে ইমরুল কায়েস ছিলেন বেশ মারমুখি। ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৫ ওভারেই ৪৮ রান তুলে ফেলেন ওপেনিং জুটি। এরপরই কুমিল্লার ওপর আঘাত হানেন ড্যারেন স্যামি। আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
দলীয় ৫৯ রানে আউট হন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান। ১০ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। মাঝে শোয়েব মালিক ২৪ বল খেলে ১৫ রান করেন শুধু। ১৩ বলে ১২ রান করেন শুভাগত হোম। শেষ দিকে আবু হায়দার রনি ৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান।
রংপুরের লংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ১৮ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি এবং সাকলাইন সজিব। সাকিব নেন ১টি উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি এবং ড্যারেন স্যামি নেন ১টি করে উইকেট।