ফ্যাসিস্টবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে – সালাহউদ্দিন
আইসিসির সভায় সিদ্ধান্তঃ বাতিল হচ্ছে ক্রিকেটের ‘তিন মোড়ল’ প্রথা
 খেলা ডেস্ক: ক্রিকেটের সর্বময় কর্তৃত্ব তিন বোর্ডের হাতে দিয়ে করা ‘বিগ থ্রি’ বা তিন মোড়ল প্রথা বাতিল করতে যাচ্ছে আইসিসি। বুধবার দুবাইতে আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার তা এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
খেলা ডেস্ক: ক্রিকেটের সর্বময় কর্তৃত্ব তিন বোর্ডের হাতে দিয়ে করা ‘বিগ থ্রি’ বা তিন মোড়ল প্রথা বাতিল করতে যাচ্ছে আইসিসি। বুধবার দুবাইতে আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার তা এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কর্তৃত্ব তাদের হাতে, আয়ের ভাগও তারাই বেশি পাবে— এই ছিল মোটা দাগে আইসিসিতে তিন মোড়লের নিয়ন্ত্রণের মূলকথা, যার উদ্যোক্তা ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৪ সালে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বিতর্কিত এন শ্রীনিবাসন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১৪ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে মূল ক্ষমতাধর করে আইসিসির সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিকে পুনর্বিবেচনা করবে আইসিসি।
নির্বাহী এবং অর্থ-বাণিজ্য সংক্রান্ত আইসিসির সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই দুই কমিটি থেকেও তিন প্রধানের স্থায়ী সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হবে।
আগের গঠনতন্ত্রে আইসিসির হৃৎপিণ্ড বলে বিবেচিত এই দুই কমিটিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল। এদের অপসারণের সুযোগ ছিল না।
এছাড়া বুধবারের সভায় আরো যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে— স্বাধীন চেয়ারম্যান নীতি। এখন থেকে সদস্য বোর্ডের সভাপতি থেকে কেউ আইসিসির চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।
গতবছরের নভেম্বরে এই বিষয়টি নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় বোর্ডের প্রধান যদি একই সঙ্গে আইসিসি চেয়ারম্যানও হয়, এতে নিরপেক্ষভাবে তার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব হবে না। ভারতীয় বোর্ডের প্রধান ভারতের স্বার্থই তো দেখবেন।
গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে এই নিয়মের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। আগামী জুনে বোর্ডের সভায় গোপন ব্যালট ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান। যার মেয়াদ হবে দুই বছর।
আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান সদস্য কোনো বোর্ডের কোনো ধরনের পদে থাকতে পারবেন না। আবার চাইলেও সবাই এই পদে নির্বাচনও করতে পারবেন না। মনোনয়নের যোগ্যতা হিসেবে আইসিসির বোর্ড পরিচালক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, পাশাপাশি পূর্ণ সদস্য দশ দেশের কমপক্ষে দুটির সমর্থন থাকতে হবে।
এর ফলে দীর্ঘ দুই বছর পর ব্রিটিশ শাসনের কুখ্যাত ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’র মতো বিগ থ্রি’র কবল থেকে মুক্ত হতে চলেছে ক্রিকেট।
নীতিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন, ‘আমরা বেশ কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা করেছি। আইসিসিতে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে আইসিসির সব সদস্যই সমান। কেউ কারো চেয়ে বড় নয়।’
 
							
 
                     
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										
 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										 
										