শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেওয়া সেই রায়হান মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার

দেশনিউজ ডেস্ক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলাকালীন ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’স লকডাউন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ওই প্রতিবেদনে সাক্ষাৎকার দেন মো. রায়হান কবির নামের এক বাংলাদেশি।

আল জাজিরার ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর থেকেই রায়হার কবিরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হয়। পরে রায়হানের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়। এতে করে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীতে পরিণত হন তিনি।

মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ‘অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে ওয়ান্টেড হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশি রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

শুক্রবার রাতে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আল জাজিরায় প্রচারিত ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানে ২৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় চলাকালীন লকডাউনে গরীব, দুস্থ, সহায়তাকামী অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে সেখানকার পুলিশের আচরণ নিয়ে কথা বলেন রায়হান।

আল জাজিরাকে রায়হান বলেন, ‘পুলিশ তাদের ধোঁকা দিচ্ছে। খাবার, পানি, সহায়তা দেওয়া হবে বলে তাদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা জানেও না তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের একটাই দোষ, তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজ নেই।’ তার এক বন্ধুকেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। রায়হান বলেন, ‘আমি থানায় গিয়েছিলাম, ইমিগ্রেশনে গিয়েছি। তাদের কাছে অনুরোধ করেছি; একটা বার অন্তত আমার বন্ধুর সাথে দেখা করতে দিন। তারা শোনেননি।’

সংবাদমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে সমালোচনা শুরু হয়। তবে দেশটির সরকার এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

দ্য স্টার’ র খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩’র আওতায় তদন্তের জন্য রায়হান কবিরের সন্ধান চাইছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের বিবৃতিতে রায়হান কবিরের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা থাকলে ফোন দিয়ে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে।

এ ছাড়া আল জাজিরার ওই প্রতিবেদককে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক আব্দুল হামিদ বাদর। তিনি বলেন, ‘দেশ বিরোধিতাসহ কয়েকটি অপরাধের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আল জাজিরার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই প্রতিবেদককে দ্রুত কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য ডাকা হবে। দণ্ডবিধি, দেশবিরোধিতাসহ বেশ কয়েকটি আইনের আওতায় তারা তদন্তের মুখোমুখি হবেন। আমাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পর আমরা দেখব তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে কি না।‘

আল জাজিরার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগ তুলে মালয়েশিয়া নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব

ডিএন/এনএন/জেএএ/৯:৫৮এএম/২৫৭২০২০১