• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

তিমির পেট থেকে হয়ত বেরুনো যায় কিন্তু….

আবদুল আউয়াল ঠাকুরঃ
কোন এক কবিতায় পড়েছিলাম, মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার..। এখন ভেবে দেখছি কবি আসলে ঠিকই বলেছেন, মাথায় কত প্রশ্ন আসছে কোথাও তার কোন জবাব পাচ্ছি না। না নিজের বোধ-বুদ্ধির কাছে না আলোচক সমালোচকদের কাছে। মাঝে মাঝে মনেহয় মানুষের চেয়ে অন্য প্রাণীরাই ভাল আছে কারণ তাদের কোন চিন্তা -ভাবনার প্রয়োজন নেই। খায়-দায় ঘুমায় যতক্ষণ বেঁচে আছে, ব্যাস । মরে গেল সব শেষ। মানুষের তো মরেও উপায় নেই। মরার পরেও তাকে নিয়ে টানাটানি। ভাবছি, আসলে বেঁচে থাকার সংগা কি? এক তো হতে পারে গায়ে চিমটি কেটে দেখা -যদি মনে হয় টের পাওয়া যায় তাহলে বেশ বেঁচে আছি।অন্যটি যদি হয় নিজের কথা নিজের বলা অথবা নিজের মত করে ভাবনা। তাহলে বোধকরি আজকের দিনে একটু ভাবতেই হবে।আসলে বেঁচে আছি তো?
চারিদিকে উন্নয়নের ফুলঝুড়ি আর তারপাশেই শিশু নারী স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের অবর্ণনীয় বিবরণ। ক্ষমতার দম্ভে ক্ষমতার বৃত্তবলয়ের আস্ফালন চারিদিকে উল্লাস আর হতাশার দীর্ঘশ্বাস। চোখের সামনে দেখলাম , মীরপুরের পূরবী হলের সামনে এক প্রতিবন্ধীকে বাসে না তুলে শিকড় পরিবহনের একটি গাড়ী প্রায় চাপা দিয়ে চলে গেল। সদর রাস্তার এই ঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করেনি। নির্বিকার তরুন ড্রাইভারের কোন প্রতিক্রিয়া নেই -যেন কিছুই হয়নি অথবা এমনটাই স্বাভাবিক। উনিশ, বিশ হলে যারা রাস্তায় গাড়ী আটকে দেয় সেই আইন-শৃঙ্ঘলা বাহিনীর কোন আঁচ পেলাম না। প্রতদিনই বেঘোরে মৃত্যুর খবর বেরুচ্ছে। অনিয়ম দুর্ণীতের বেপরোয়া হবার খবরও বিস্তৃত হচ্ছে। ছিটে-ফোটা বেরুলেও সবটাই থেকে যায় চোখের অন্তরালে। দেখা গেলে খবর হয় অন্যরকম। এসব নিয়ে ভেবে কোন আপাত সমাধান খুঁজে পাইনি। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না অথচ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। কার স্বার্থে। একটি বইতে পড়েছিলাম, জাহাজে কর্মরত এক ব্যক্তি হঠাৎ করেই আবিষ্কার করল সে কোন কিছুর পেটের মধ্যে চলে গেছে। শরীরে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপায় না পেয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আবরন কাটতে শুরু করে এবং বেড়িয়ে পড়ে। সে অবিষ্কার করল সে তিমির পেটে চলে গিয়েছিল। ভাবনা আসে তিমির পেট থেকে হয়ত বেরুনো যায় কিন্তু গণতন্ত্র যদি কোন বিষধরের পেটে ঢুকে যায় তাহলে কি বেরুতে পারে?
লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদি, সাবেক সহকারী সম্পাদ, দৈনিক ইনকিলা।

# ফেসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহীত

Print Friendly, PDF & Email