এবি পার্টির ইফতারে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের সম্মেলন
বাবার পর ব্যাংক কর্মকর্তা ছেলেও করোনায় মারা গেলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড স্থানীয় কার্যালয়ের সিনিয়ব প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকটির ৫ জন কর্মকর্তা প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
সোনালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আতিকুল ইসলাম সর্বশেষ গত ২৮ মে অফিস করেছেন; এরপর থেকেই তিনি অসুস্থ। বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে তার জ্বর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় তিনি মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার বিকাল চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মূত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সোমবার রাতে দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থানে তার জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয় বলে তিনি জানান।
এখন পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের প্রায় ১৪০ জনের মতো কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর ৫ জন মারা গেছেন বলে জানান ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান এ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত মাসে আতিকুর রহমানের বাবাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তার লাশ দাফন করতে তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। প্রাথমিক টেস্টে তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনার সব উপসর্গ থাকায় তিনি আর ব্যাংকে আসেননি। গত এক সপ্তাহ আগে তার জ্বর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে পরে তিনি মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।