ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব, হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ
জামালপুর প্রতিনিধি |
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, মধ্যরাতে কর্তব্যরত নারী স্টাফদের কুপ্রস্তাব, বহিরাগতদের নিয়ে মাদকসেবনসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অমানবিক আচরণ ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
দেওয়ানঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, মানসিক নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এছাড়া তাদের নামে বাসা বরাদ্দ না দিয়ে ভাড়া নিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করে আসছেন। তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গেলে বহিরাগতদের দিয়ে নানা হয়রানি করার অভিযোগ করেন তারা।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্সরা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ডা. আবু আহাম্মদ শাফী ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই অকারণে স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসছেন। মধ্যরাতে কর্তব্যরত নারী স্টাফদের কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকেন। এছাড়া বহিরাগতদের নিয়ে মাদকসেবনের অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী নার্সরা তার দ্রুত বদলির দাবি জানান।
হাসপাতালের কর্মচারীরা বলেন, করেনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদেরকে করোনা পরীক্ষার নামে ঘরে বন্দী করে রেখেছেন। নার্সদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন। বহিরাগতদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের ইউএইচও যোগদানের পর থেকেই স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। একজন অফিসারের আচরণ এত খারাপ হতে পারে, তা কল্পনার বাইরে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতি সকল স্টাফ অসন্তুষ্ট। তিনি এখানে কর্মরত থাকলে স্টাফরা কাজে আগ্রহ হারাবে। তাই তাকে দ্রুত বদলি করা উচিত।’
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী বলেন, ‘সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। যাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যাঘাত ঘটছে এবং ফায়দা লুটতে ব্যর্থ হচ্ছে তারাই আমার বিরুদ্ধে দুর্নাম করছে, নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।’