ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
পল্লী নিবাসে সাদ এরশাদকে লাঞ্ছিত, বাড়ি ঘেরাও-ভাঙচুর
রংপুর প্রতিবেদক।
ডিও লেটারে (চাহিদাপত্র) স্বাক্ষর না করায় রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান টিটোর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর দর্শনা এলাকার সাদ এরশাদের পল্লী নিবাস থেকে টিটোকে আটক করা হয়। তবে জাপা নেতাকে আটক করায় রাতেই সাদ এরশাদের পল্লী নিবাস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা। এ সময় বাসভবনের নিচ তলার চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন তারা।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, টিটো দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদ এরশাদের বাসভবনে যান। এ সময় সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রী বাসার নিচ তলার বৈঠকখানায় বসেছিলেন। তখন টিটো একটি ডিও লেটারে এমপির স্বাক্ষর নিতে গেলে তার এপিএস প্রিন্স ও অপর একজন টিটোর হাত থেকে ডিও লেটার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন।
এ নিয়ে টিটোর সঙ্গে সাদ এরশাদের এপিএসের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সাদ এরশাদকে ধাক্কাধাক্কি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে টিটোকে আটক করে তাজহাট থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে টিটো সমর্থিত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পল্লী নিবাস বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
এ ছাড়া রংপুর সিটি মেয়র ও জাপার রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাপা, যুবসংহতি ও ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা এসে পল্লী নিবাসের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন এবং টিটোর মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, এরশাদ মারা যাওয়ার পর সদর আসনে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। দলের সব নেতাকর্মীরা উপনির্বাচনে তার পক্ষে জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন।
কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সাদ এরশাদ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন না। মূল্যায়ন করেন না, বরং প্রিন্স নামে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে এপিএস বানিয়ে তাকে দিয়ে সব কাজকর্ম করান। এজন্য টিটোর মুক্তি এবং সাদ এরশাদের এপিএস প্রিন্সকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান জানান, জাপা নেতা টিটোকে আটক নয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
সাদ এরশাদের বাসভবনের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পর্যন্ত সাদ এরশাদের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।