আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র ছিনতাই
কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ও প্রক্টরিয়াল বডির সামনে দরপত্র (টেন্ডার) ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বেজিস্ট্রার কার্যালয়ের করিডোরে দরপত্র জমা দিতে গেলে বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা দরপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে লিখিত অভিযোগ করে কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকদেরও লঞ্ছিত করে বহিরাগত দুস্কৃতিকারীরা। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ও লাঞ্ছনাকারী ঠিকাদারকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্তত বিশ জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সম্প্রসারণ কাজের জন্য ১৩ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার দরপত্র জমাদানের তারিখ ছিল। প্রশাসনিক ভবনে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের করিডোরে দরপত্র জমাদানের বক্স বসানো হয়। দরপত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, প্রশাসনিক ভবন ও ক্যাম্পাসের আশে পাশে দফায় দফায় শো-ডউন দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বহিরাগতরা। বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে দরপত্র জমাদানে আসা ব্যক্তিদের বাঁধা দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছিত করে বহিরাগতরা। এ সময় যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার সাইফুদ্দিন পাপ্পু অকথ্য ভাষায় শিক্ষকদের গালিগালাজ করেন বলে জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি দুলাল নন্দী। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সভাপতি দুলাল নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দীকি রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে উক্ত ঠিকাদারকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টারলাইট সার্ভিসেস লিমিটেড এবং এম এস জাকির এন্টারপ্রাইজ। এতে পূনরায় দরপত্র আহবানের আবেদন জানানো হয়।
শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী ও ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি দুলাল নন্দী বলেন, ‘ঠিকাদার সাইফুদ্দিন পাপ্পু শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে তাকে বের করে দেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমি শিক্ষক লাঞ্ছনার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি।’ দরপত্র জমাদানে আসা ব্যক্তিদের বাঁধা দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ বিষয়ে কোন উত্তর দেননি।