আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
বাংলাদেশিদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে আগ্রহী মমতা
নিউজ ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসা বাংলাদেশিদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেসব বাসিন্দারা ভারতে চলে এসেছেন তাঁদের সিটিজেনশিপের (নাগরিকত্ব) ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক দপ্তর ‘নবান্নে’ বসে এ তথ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগেপাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দিতেন এই রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলা শাসক। সম্ভবত ১৯৮৫ সাল থেকে টেররিস্ট জাতীয় অজুহাত তুলে কেন্দ্র জেলাশাসকের হাত থেকে সেই অধিকার কেড়ে নেয়। আমরা আজ মন্ত্রিপরিষদে ঠিক করেছি কেন্দ্রকে বলব, এই অধিকারটা যেন জেলা শাসকের হাতেই দেওয়া হয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর অনেক বাংলাদেশি এ রাজ্যে বসবাস করা সত্ত্বেও নাগরিকত্ব পাননি। রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড হয়তো পেয়েছেন। আমরা চাই যাঁরা বাংলাদেশ থেকে পাঁচ বছর আগে এসেছেন এবং এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাঁদের যেন নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের দাবি তোলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা দেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি পুরুষ কর্মীদের জন্য ৩০ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি চালুর কথা ঘোষণা করেন। প্রতি বছর ৩ শতাংশ হারে তাদের বেতন বৃদ্ধি ও অবসরকালীন দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যে আমরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি। এবার রাজ্যে নতুন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এবার থেকে পিএসসি পরীক্ষায় নেপালি ভাষায় প্রশ্নপত্র করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে কিছু না করে ভোটের আগে এসব ঘোষণা দিয়ে আসলে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে ধাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘ভোটের আগে এসব স্রেফ চমক। কোনোটাই বাস্তবায়িত হবে না।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এবারের ভোটে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে বুঝতে পেরে যাওয়ার আগে রাজ্যকে আরো দেনায় ডুবিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’