আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ভ্যাট ফাঁকি রোধে অভিযান চালাতে চায় র্যাব
নিউজ ডেস্ক: রাজস্ব আদায় কার্যক্রমকে গতিশীল করতে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ফাঁকি ঠেকাতে অভিযান চালাতে চায় র্যাব।
এ জন্য মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর তফসিলে মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এ অন্যান্য আইন তফসিলভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওই আইনের আওতায় র্যাব অভিযান চালাতে পারে না।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, ভুয়া ডাক্তার, লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অবৈধ ব্লাড ব্যাংক, ভেজাল ওষুধ ও কসমেটিক্স এবং অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইন মোবাইল কোর্ট আইনে তফসিলভুক্ত হওয়ায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এসব আইনের আওতায় অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, ২৯ অক্টোবর র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এনবিআরে চিঠিটি পাঠান। চিঠির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকেও দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে অনেক নামিদামি শপিংমল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও কিছু সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধি মোতাবেক সরকারের সংশ্লিষ্ট খাতে জমা না করার ফলে রাজস্ব আদায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) ও পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা যথাযথভাবে অনুসৃত হচ্ছে না। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
‘ভ্যাট আইন মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলভুক্ত অন্যান্য আইনের অধীনে র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, যা সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। ভ্যাট আইন তফসিলভুক্ত করা হলে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্যাট ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হবে।’
‘এর ফলে ব্যবসায়ী সমাজ সরকারের রাজস্ব আদায়ে তাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অধিকতর সচেতন হবেন, ক্রেতাসাধারণের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং সামগ্রিকভাবে ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা হ্রাসসহ সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব হবে।’
এনবিআর সূত্র জানায়, র্যাবের চিঠি পাওয়ার পর ভ্যাট ফাঁকি রোধে মোবাইল কোর্ট চালানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ভ্যাট কর্মকর্তাদের দোষারোপ করে থাকেন, হয়রানির অভিযোগ করেন। মোবাইল কোর্ট চালানোর অনুমোদন দিলে তা প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তাও ভাবা হচ্ছে। তা ছাড়া ফাঁকি রোধে ভ্যাট গোয়েন্দা তৎপর রয়েছে। আর ভ্যাট আইনের ২৪ ধারায় বলা রয়েছে, চাইলে ভ্যাটের অফিসাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারবেন।
এদিকে, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো আনু্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। খাদ্যে ভেজালসহ অন্যান্য আইনের আওতায় র্যাব অভিযান চালালে আপত্তি নেই। তবে, ভ্যাট ফাঁকি রোধের নামে অভিযান চালানো হলে তা প্রতিহত করা হবে। কারণ এমনিতেই ভ্যাটের অফিসারদের হুমকি-ধমকিতে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ।’