• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যয় ও সময় দু’টোই বাড়ছে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের

0001নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফের সময় ও ব্যয় বাড়ছে ‘মগবাজার-মৌচাক’ ফ্লাইওভার প্রকল্পের। মূল অনুমোদিত প্রকল্প থেকে  ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে। ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় এখন ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

ব্যয় বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পটি মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রকল্পটি ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার কথা ছিল। এখন সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে ২০১৭ সালের জুন নাগাদ। বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ার জন্য প্রকল্প এলাকায় জনদুর্ভোগও তৈরি হয়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানো লাগবে না।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার একনেক সভায় মোট ১৪টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। ‘মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার  নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেক সভার চার নম্বর কাযর্তালিকায় রাখা হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার প্রকল্পটির ব্যয় আরও ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা বাড়বে।

প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক(পিডি) নাজমুল আলম বলেন, প্রকল্পের আওতায় নতুন নতুন অঙ্গ যোগ হওয়ার পাশাপাশি পরিধিও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যে কারণে মূল প্রকল্প থেকে ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। তবে মহাখালীসহ নগরীর অন্যান্য ফ্লাইওভারের চেয়ে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের খরচ কম হবে। অন্যান্য ফ্লাইওভারের চেয়ে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার অনেক মানসম্মত ও আধুনিক হবে।

প্রস্তাবিত বর্ধিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পিডি বলেন, ইনশাল্লাহ, আশা রাখছি, এ সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আগামী মার্চ মাসে হলিফ্যামিলি থেকে সাতরাস্তা পযর্ন্ত অংশটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবো।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা গেছে, চূড়ান্ত ব্যয় বাড়ছে ৪৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ২৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে ২০৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এতে করে মোট প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়াল ৭৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।  এর মধ্যে সৌদি ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট (এসএফডি) ৬ দশমিক ৮৩ কোটি ডলার এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট(ওএলআইডি) দেবে ৩ দশমিক ৪ কোটি মার্কিন ডলার।

প্রকল্পের আওতায় তেজগাঁও-পান্থপথ লিংক রোড এফডিসি গেটের পরিবর্তে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ৪৫০ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। ফলে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত যাচ্ছে ফ্লাইওভারটি। এ খাতে ব্যয় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, অতিরিক্ত ৪৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচের একটি ছকও উপস্থাপন করেছে এলজিইডি। এতে দেখা গেছে, জিওবি ব্যয় ২৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, পরামর্শক বাবদ ১৬ কোটি টাকা এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ বাবদ ২৫৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যয় বৃদ্ধির যৌক্তিকতা জানার জন্যই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email