এক দিনেই শতাধিকবার ধর্ষিত বৃটিশ নারী

0001নিউজ ডেস্কঃ এ এক বৃটিশ নারীর গল্প। মেগান স্টিভেন্স (ছদ্ম নাম) নাম তার। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে ৬ বছর ধরে এক পতিতালয়ে কাজ করছেন তিনি। তাকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত করানোর পর, একদিনে শতাধিকবারও যৌনমিলন করতে হয়ছে তাকে। এখন ২৫ বছর বয়স তার। মেগান প্রকাশ করেছেন তার নির্মম রূঢ় গল্প। ছুটি কাটাতে ছোটবেলায় গ্রিসে যান তিনি। সমুদ্রপাড়ের পানশালায় জ্যাক নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় তার। খুব দ্রুতই তার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যান মেগান। এরপর দু’ জনের একসঙ্গে থাকা। দেশে মেগানের মা মদ্যপানে আসক্ত। ফলে জ্যাকের চাপাচাপিতে বৃটেন থেকে গ্রিসের এথেন্সে পাকাপাকিভাবে চলে যেতে রাজি হন মেগান। গ্রিসে কোন পানশালা বা ক্যাফেতে কাজ করার প্রত্যাশা ছিল তার। কিন্তু এথেন্সে যাওয়ার পরই তাকে জোর করে নিক্ষেপ করা হয় পতিতাবৃত্তির অন্ধকার রাজ্যে। তার গল্প প্রকাশ করেছে দ্য মিরর।
জাক তাকে একদিন একটি কার্ডবোর্ড বক্স দেয়। মেগানকে বলা হলো, একটি অফিস বিল্ডিং-এর একেবারে ওপরের তলায় এক ব্যক্তির কাছে এ বক্স পৌঁছে দিতে। তখনই কিছু একটা সন্দেহ করতে থাকেন মেগান। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করতে পারি, আমি কাঁপছিলাম আর একটা একটা করে সিঁড়ি মাড়াচ্ছিলাম। কারণ, কিছু একটা অদ্ভট ঠেকছিল।’
এক ব্যক্তি তাকে ছোট জানালাবিহীন একটি কক্ষে ঢুকতে দেয়। সেখানে পাতা ছোট্ট একটি বিছানা। দেয়ালের ওপরের দিকে একটি ভিডিও ক্যামেরা রাখা। প্রথম ওই লোকটির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন মেগান। এর আগে কখনই যৌনমিলন করেননি তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমি মুহূর্তেই যেন পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে গেলাম। কারণ, আমি সত্যিই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।’
বিছানাজুড়ে তখন রক্তের ছড়াছড়ি। লোকটি তাকে ৫০ ইউরোর একটি নোট দেয়। মেগান চলে যাওয়ার সময় দেখতে পায়, যে বক্সটি এ ঘরে সে নিয়ে এসেছিল, সেখানে রাখা কয়েক প্যাকেট কনডম। বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার শিকার হয়ে অর্থের জন্য এরপর পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত হতে হয় তাকে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮ জন অপরিচিতের সঙ্গেও যৌনমিলন করতে হতো তার। তখনও তার সঙ্গে জ্যাকের সম্পর্ক চলছিল। তাকে জ্যাক বোঝায়, বেশি করে টাকা কামানোর আর কোন রাস্তা নেই। কিছু সময় পর কিছু পাচারকারীদের হাতে তাকে তুলে দেয় জ্যাক। কিন্তু মেগান এতটাই আতঙ্কগ্রস্থ হয় যে, তাকে গ্রিসের একটি হাসপাতালে ৩ মাস থাকতে হয়। সেখানেই এক কর্মীকে নিজের গল্প জানান তিনি। এরপরই মেগানের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর মায়ের সঙ্গে দেশে ফিরে যান মেগান। সেখান থেকেই নিজের জীবন পুনর্গঠনের শুরু। নিজের এমন ভয়ানক অতীত নিয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email