শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

করোনাকে ‘ছোট ফ্লু’ বলেছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, এখন সর্বোচ্চ মৃত্যু

দেশনিউজ ডেস্ক |


প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডবে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তখন গত সপ্তাহে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো বলেছিলেন-এটা একটা ছোট ফ্লু। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তিনি লকডাউন শিথিল করার উপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও দেশটির চিকিৎসকরা করোনাকে এক ভয়ঙ্কর হিসেবে উল্লেখ করেছেন।কিন্তু প্রেসিডেন্ট বলসোনারো কারো কথাকে পাত্তা দেননি।
তারপর দুইদিন পর থেকেই ব্রাজিলের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে প্রাণঘাতী করোনা। প্রতিদিন বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
গত সপ্তাহে করোনাকে ছোট ফ্লু বললেও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট বলসোনারো নিজেই এখন দিশেহারা।এমনকি করোনার ভয়াবহতা দেখে গত বুধবার বলেই ফেললেন-মৃত্যুই সবার নিয়তি।
আর সর্বশেষ খবর হলো-করোনায় একদিনে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে চলে আসছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ব্রাজিলে ৯১০ জন। বিগত টানা দুই মাস ধরে প্রতিদিনের মৃতের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৭ জন। মারা গেছে ৩৫ হাজার ৯৫৭ জন।
অন্যদিকে করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে মাত্র একজন। তবে ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার মানুষ।
একদিনেই মারা গেছে ২৯৬ জন। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ১০ দিনে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে। বর্তমানে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬২২ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় ভারতের অবস্থান এখন ষষ্ঠ স্থানে। আক্রান্তের সংখ্যায় এখন শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটি এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৮ জন। মারা গেছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৬ জন।
তৃতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া। এখানে আক্রান্ত ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৯ এবং মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৫৫ জন।

স্পেনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯০ জন এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১৩৫ জন। তবে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজন মারা গেছে।
যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৮ জন। মারা গেছে ২৭ হাজার ১৩৫ জন। বাংলাদেশেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ২৬ জন এবং মারা গেছে ৮৪৬ জন।