ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
এবার করোনায় আক্রান্ত বলসোনারোর স্ত্রী
দেশনিউজ ডেস্ক।
ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো করোনাভাইরাস থেকে সেরে না উঠতেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে তার স্ত্রী মিশেল বলসোনারোর শরীরে।
বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ফার্স্ট লেডির কভিড-১৯ এ আক্রান্তের খবর জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হলেও ‘স্বাস্থ্য ভালো আছে’ ৩৮ বছর বয়সী মিশেলের। এখন সেরে ওঠার জন্য আরোপিত ‘বিধিগুলো মেনে চলবেন’ তিনি।
এর আগে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন ব্রাজিলের ৬৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। এই সময়ে ব্রাসিলিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রায় তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। একাধিকবার টেস্ট করেও পজিটিভ আসছিল তার রিপোর্ট। সংক্রমণ কাটিয়ে কাজে ফেরার পাঁচ দিনের মাথাই আক্রান্ত হলেন তার স্ত্রী।
অনেক দিন ধরেই ব্রাজিল করোনাভাইরাসের অন্যতম হটস্পট। অতি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে এরই মধ্যে দেশটিতে ৯১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি।
কিন্তু করোনা মহামারিতে তেমন কোনো গুরুত্ব নেই বলসোনারোর। তার মতে, ‘হালকা ফ্লু’ জাতীয় অসুখ। এমনকি লকডাউন, মাস্ক পরা এসব বিধিনিষেধেরও ঘোর বিরোধী তিনি। তাকে মাস্ক পরাতে দরকার হয়েছে আদালতের নির্দেশনা।
করোনা চিকিৎসায় বিতর্কিত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পক্ষেও তার দৃঢ় অবস্থান। কভিড-১৯ চিকিৎসায় এই ওষুধের কার্যকারিতা বিশেষজ্ঞরা না পেলেও বলসোনারোর দাবি, এটি বেশ কার্যকরী। এমনকি নিজে আক্রান্ত হওয়ার পরও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন গ্রহণ করেছেন বলে জানান অতি ডানপন্থী এই প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবারও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পক্ষে সাফাই গান বলসোনারো। তবে নিজের স্ত্রী এই ওষুধটি নিচ্ছেন কি-না তা জানাননি তিনি।
সাপ্তাহিক ফেসবুক লাইভে এসে বলসোনারো বলেন, “প্রথমে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। দ্বিতীয়ত আমাকে যে ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল সেটিকে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন। এটা আমার ক্ষেত্রে কাজে দিয়েছিল।”
তবে আবারও দুর্বল বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বলসোনারো। নতুন কোনো অসুস্থতায় ভুগছেন কি-না এ ব্যাপারে কিছু জানাননি তিনি, “আমি রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। গতকাল অনেকটা দুর্বল বোধ করছিলাম। তারা কিছু একটা সংক্রমণ পেয়েছে। ২০ দিন বাড়িতে বসে থাকার পর আপনার কিছু সমস্যা হতে পারে।”
ডিএন/আইএন/জেএএ/৮:৫৩এএম/৩১৭২০২০৩