বাজেটে দুর্নীতিকে আইনি অনুমোদন দেয়া হয়েছে: চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে দুর্নীতিকে আইনি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বাজেট বাস্তবতা বর্জিত সংখ্যার ফুলঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। করোনার এই ভয়াবহ সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ প্রস্তাব করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘোরের মধ্যে বাস করছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকেদের অবৈধ টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশ-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই। বাজেটে বরাবরের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করা হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধব বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা কত বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আর এ দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের রক্ষার কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হবে না। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে।

Print Friendly, PDF & Email