শিরোনাম :

  • বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্কুলছাত্র পুলক হত্যায় তিন খুনির স্বীকারোক্তি

00001নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটের জৈন্তাপুরে চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী পুলক চন্দ্র রাউৎ এর খুনিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ফৌজধারী দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া তিন ঘাতকের জবানবন্দি আদালত রেকর্ড করা হয়।

খুনের দায় স্বীকার করে তারা জানায় পূর্ব বিরোধের কারণেই তারা তিনজন মিলে পুলকের গতিবিধি লক্ষ্য করে। পরে তাকে সারিঘাট এলাকা থেকে তুলে নিয়ে পাখিটিকি এলাকায় ভূইয়া ফিশারিজের পাশের একটি ডোবায় নিয়ে হত্যা করে লাশ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে।

ঘাতকরা হচ্ছে আবদুল কুদ্দুস ও শাহাব উদ্দিন সাবু দুই সহোদর, পুলকের সহপাঠী ও তাদের বন্ধু স্বপন বিশ্বাস। এই তিনজনের দুই সহোদর সাবু ও কুদ্দুস চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। আর স্বপন বিশ্বাস ছিল জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কুদরত-ই-খোদা তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

জবানবন্দি শেষে পুলকের দুই সহপাঠী ঘাতক সাবু ও কুদ্দুস কিশোর হওয়ায় তাদের সিলেট নগরের শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া অপর খুনি স্বপন বিশ্বাসকে (২০) আদালতের নির্দেশে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, নিখোঁজের আটদিনের মাথায় গত শুক্রবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী পুলক চন্দ্র রাউৎ (১৪) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলছাত্র পুলক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ আটক দুই সহোদরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার পাখিটিকি এলাকার ভুইয়া ফিসারিজের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একমাত্র পলাতক থাকা বাউরভাগ উত্তর (পুঞ্জি) গ্রামের দুলি বিশ্বাসের ছেলে স্বপন বিশ্বাসকে (২০) শনিবার দুপুরে তার বাবা-মা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে স্বপনও স্বীকার করে সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো।

পরে এই তিন ঘাতককে শনিবার সিলেটের হাকিম আদালতে হাজির করে ফৌজধারী দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবনবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবদেন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জৈন্তাপুর থানার এসআই মিন্টু চৌধুরী। এরপর আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবনবন্দি গ্রহণ করেন।