আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে বিতর্কঃ সমালোচনা না করে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিচার বিভাগের ক্ষমতা আর বিচারপতিদের কাজের পরিধি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না। অবসরের পরে বিচারপতিরা রায় লিখতে পারেন কি না তা নিয়ে আইনজ্ঞদের মধ্যেই রয়েছে ভিন্ন মত। তবে দেশের সংবিধান আর বিদ্যমান আইনে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকাই বিতর্কের কারণ।
দেশের ইতিহাসে অনেক বড় কিংবা আলোচিত মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় অবসরে যাবার পর লিখেছেন বিচারপতিরা। আর এ দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ নিয়েও কম হয়নি আলোচনা-সমালোচনা। এই বাস্তবতায় মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করতে বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
কিন্তু সেই আহ্বানের প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায়নি। সম্প্রতি বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার এক বক্তব্যের পর। দায়িত্বের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অবসরের পর বিচারপতিদের রায় লেখা অসাংবিধানিক। আর এই বক্তব্য আদালত পাড়া তো বটেই উত্তাপ ছড়িয়েছে সংসদেও।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দেশের সংবিধানে বিচারপতিদের রায় লেখা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই সবার আগে বিষয়টিকে আনতে হবে আইনি কাঠামোর মধ্যে। তার মতে, অবসরের পর লেখার কারণে কোনো রায় অবৈধ গণ্য করা যাবে না।
তবে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের সমর্থন প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পক্ষেই। তিনি বলেন, অবসরের পর রায় লেখা শপথ ভঙ্গের সামিল।
তবে তাদের দুজনেরই মত, প্রধান বিচারপতি, কেবল একজন ব্যক্তি নয়। বিচার বিভাগের অভিভাবক। তাই তার বক্তব্যকে কেবল সমালোচনার দৃষ্টিতে না দেখে নিতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে।