এবি পার্টির ইফতারে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের সম্মেলন
চলে গেলেন বরেণ্য সাংবাদিক রাহাত খান
নিজস্ব প্রতিবেদক।
দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাশিল্পী রাহাত খান আর নেই। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ইস্কাটন গার্ডেনের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাহাত খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার স্ত্রী অপর্ণা খান। তিনি জানান, রাহাত খানের মরদেহ রাতে বার্ডেমের হিমাগারে রাখা হবে। আগামীকাল শনিবার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তবে সময় এখনো ঠিক হয়নি।
দাফনের আগে প্রেসক্লাব, বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে নেওয়া হতে পারে বলেও জানান অপর্ণা খান।
গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারের মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় তাঁকে বাসাতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
রাহাত খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তিনি ষাটের দশক থেকে কর্মরত ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান ১৯৭৩ সালে।
তাঁর উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অনিশ্চিত লোকালয়, অমল ধবল চাকরি, ছায়া দম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি।
বরেণ্য এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।