আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
বিতর্কিত বক্তব্যে ‘হাসির পাত্র’ হয়েছে নির্বাচন কমিশন: সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের ২৩ জন মন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন নিজেদের ‘হাসির পাত্রে’ পরিণত করেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত পৌর নির্বাচন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাগরিক সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। আজ সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রগতি কনফারেন্স সেন্টারে মুক্তি ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন পূর্ব ব্যাপক সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। এ সংশয় নিরসনে নির্বাচন কমিশন কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন। দৃশ্যমান সহিসংতা ছাড়া অদৃশ্যমান নির্বাচনী অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা অনেকে ঘটেছে। সরকারি দলের ২৩ জন মন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি, বরং এ ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ‘হাসির পাত্রে’ পরিণত করেছে। প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পৌর নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনিয়মকারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন, প্রয়োজনে জেলে ঢোকান, অভিযোগ ওঠা দু-একজনের প্রার্থিতা বাতিল করুন এবং অনিয়ম ও অভিযোগ উঠলে নির্বাচন বন্ধ করুন।
সুজনের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খান বলেন, ‘ইসির কোনো তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। ইসি জরিমানা ও উকিল নোটিশ দিয়ে তাদের কাজ শেষ করছে। ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর ইসি কোনো ব্যবস্থা নিতে পিছিয়ে গেছে।’
গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পৌরসভা নির্বাচন ইসির জন্য বড় পরীক্ষা। নির্বাচন কমিশন কেমন ভূমিকা পালন করে, তা দেখার অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ।