ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ দারিদ্রমুক্ত হবেঃ পরিকল্পনামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তার প্রয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল।
শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনাতয়নে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
মোস্তফা কামাল বলেন, গত দুই বছরে কৃষিতে সরকার ৪০০৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সব কাজ সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই জাতীয় উন্নয়ন ও কৃষি খাতের অগ্রগতির অগ্রগতির জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ আর জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
তিনি বলেন, জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কৃষিকে অটোমোশন করা,খাদ্য উৎপাদনের উল্লম্ফনের দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
শহরের মত গ্রামেও নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে আবাসনের জন্য জমির পরিমাণ কমিয়ে এনে কৃষির জমির প্রাপ্যতা বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। বিপুল এ জনগোষ্টির খাবার যোগান দেওয়ার ফলে পরিবেশের ওপর চাপ পড়বে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষি গবেষণা করার জন্য কৃষিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
‘একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে রূপান্তর’ শীর্ষক এই জাতীয় কনফারেন্স ও সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব আহসানুজ্জামান লিন্টু, আহ্বায়ক এইচ এম কায় খসরু, ইকরিস্যাট এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. উত্তম দেব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার মন্ডল প্রমুখ।